অচিরেই নিজস্ব কক্ষপথে উড়বে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট।


২০১৭ তেই দুটি স্যাটেলাইটের মালিক হচ্ছে বাংলাদেশ, একটি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ অন্যটি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানো স্যাটেলাইট (অন্বেষা ৩বি)।

ব্যয়বহুল কনভেনশনাল স্যাটেলাইটের তুলনায় ন্যানো-স্যাট বেশ ছোট, ওজন হয় ১-১০ কেজি এবং একে বিষুবরেখার ৫০০-১৫০০ কিলোমিটারের ভেতর স্থাপন করা যায়। কিন্তু বড় আকারের জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটগুলো (বঙ্গবন্ধু-১) ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে স্থাপন করতে হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আগামী বছর ১৬ ডিসেম্বর আকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে। ন্যানো স্যাটেলাইট একই বছরের মে মাসে উৎক্ষেপণ করবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। দুটি স্যাটেলাইট থেকেই যোগাযোগ ও আবহাওয়া, একাডেমিক গবেষণাসহ ৪০ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণ হচ্ছে রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশের সহযোগিতায় আর ন্যানো স্যাটেলাইট নির্মাণে সহযোগিতা দিচ্ছে জাপান।

স্যাটেলাইট দুটি উৎক্ষেপণ হলে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা যাচ্ছে।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দেয়ার জন্য জিয়োসিক্রোনাস স্যাটেলাইট সিস্টেমের (৪০ টি ট্রান্সপন্ডার, ২৬ কেইউ ব্যান্ড, ১৪ সি ব্যান্ড) গ্রাউন্ড সিস্টেমসহ সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্য ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের অরবিটাল স্পটের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারস্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব স্পেস কমিউনিকেশন্সকে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে বিটিআরসি। স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করতে মোট ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এর মধ্যে গত বছর সরকার এই প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা দিয়েছে। দাতা সংস্থা দেবে এক হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এই স্যাটেলাইটের দুটি বেসস্টেশন থাকবে, বেসস্টেশন নির্মাণের কাজও অনেকদূর এগিয়েছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন হলে দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের প্রতিষ্ঠান এর সেবা পাবে। বিদেশী স্যাটেলাইটের উপর নির্ভরশীলতা থাকবে না, পাশাপাশি স্যাটেলাইটের অব্যবহৃত তরঙ্গ ভাড়া দিয়েও বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থী কাফি, মাইসুন ও অন্তরা জাপানে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের পাশাপাশি স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নির্মিত স্যাটেলাইট ২০১৭ সালের মে মাসে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সম্প্রতি জাপানের কিউসু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (কেআইটি) এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মধ্যে দেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বার্ডস নামক প্রজেক্টের মাধ্যমে এ ন্যানো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এর নাম দেয়া হয়েছে অন্বেষা ৩বি (৩বি-বাংলাদেশ, ব্র্যাক ও বার্ডস প্রজেক্ট। দেশের জন্য ন্যানো স্যাটেলাইট খুবই লাভজনক হবে, এর মাধ্যমে দেশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, কৃষি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হবে।
Thank you for reading this article on অচিরেই নিজস্ব কক্ষপথে উড়বে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট। on the Apps For Life bd blog if you want to spread this article please include links as Source, and if this article useful please bookmark this page in your web browser, with How to press Ctrl + D on your keyboard button.

Latest articles: