মানসিক অসুস্থতাজনিত সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার গচ্ছা দিতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। দেশটির এক শীর্ষস্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, স্মার্টফোনই এ অসুস্থতার অন্যতম প্রধান কারণ। খবর সিনহুয়া।
স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার দক্ষতা ও চিন্তাশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে। এতে বিশেষ করে শিশু-কিশোরেরা শিকার হচ্ছে ‘সাইবার বুলিং’য়ের। যা পরে তাদের ঠেলে দিচ্ছে মানসিক অসুস্থতার দিকে। বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চালানো বিভিন্ন জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এই বিশেষজ্ঞের নাম প্যাট্রিক ম্যাকগোরি। হেডস্পেস নামে পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইয়ুথ মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে তিনি ‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন।
গত শুক্রবার অ্যাডিলেডে ‘মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ শীর্ষক এক ফোরামে বক্তব্য দেয়ার প্রাক্কালে তিনি বলেন, স্মার্টফোন ব্যবহারের সূচনা এবং বিস্তৃতির পর থেকে দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ততার হার বেড়েছে।
আগামী মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই ম্যাকগোরি দেশটির প্রধান দলগুলোকে তাদের প্রচারণায় মানসিক অসুস্থতাজনিত সমস্যা মোকাবেলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মনরোগ বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরে বলছিলেন, ভিডিও গেমের অতিরিক্ত আসক্তিতে একদিকে যেমন শিশু-কিশোরদের সামাজিকীকরণ বাধাগ্রস্ত হয় তেমনি মেধা বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বিষয়টিকে নজরে নিয়ে ব্রিটেনসহ কয়েকটি দেশ বিশেষ ক্লিনিক স্থাপনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত মনিটরিং শুরু করলেও এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ।
The post মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী স্মার্টফোন appeared first on Technology Bangla News - Photos, Videos, Reviews, Downloads and Update:.
অরিজিনাল পোস্ট
পোস্টটি Techzoom থেকে নেওয়া