আগামীতে ফোনের বাজারে রাজত্ব করবে ফোল্ডিং ডিসপ্লে স্মার্টফোন এবং ফাইভ জি ফোন। স্মার্টফোনের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ওপর পরিচালিত জড়িপের মাধ্যমে এই এই আভাস দিয়েছে বাজার গবেষণকারী প্রতিষ্ঠান গার্টনার । ২০২০ সালে ফোল্ডিং ডিসপ্লে এবং ফাইভ জি ফোনের চাহিদা গিয়ে দাঁড়াবে ৬৫ মিলিয়ন ইউনিট।
গার্টনারের গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাজারে এখন যেসব স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে তাতে একই ধরনের ফিচার থাকছে। ফলে ক্রেতারা নতুন করে ফোন কেনা থেকে বিরত থাকছেন। ক্রেতারা এখন ফোল্ডিং ডিসপ্লের স্মার্টফোন এবং ফাইভ জি কানেকটিভিটি সমৃদ্ধ ডিভাইসের জন্য অপেক্ষা করছেন।
এদিকে ২০১৮ সালের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রান্তিতে স্মার্টফোনের বাজার কিছুটা পড়তির দিকে। এখনকার উঠতি বাজার স্মার্ট ওয়াচের মতো স্মার্ট ডিভাইসের দিকে।
নভেম্বর মাসে বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট জানিয়েছিল গত কয়েক বছরের তুলনায় ২০১৮ সালে স্মার্টফোনে চাহিদা অনেকটাই কমেছে।
সম্প্রতি শেষ হওয়া এই সমীক্ষা রিপোর্টে কাউন্টারপয়েন্ট জানিয়েছে ২০১৮ সালের শেষে সারাবিশ্বে স্মার্টফোনের চাহিদা কমেছে ১.৩ শতাংশ। এই প্রথম স্মার্টফোনের ইতিহাসে চাহিদা কমতে দেখা গেল।
গত বছরের শেষ দিক থেকে সব স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার বিক্রি কমতে শুরু করে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে এখনো একইভাবে কমে চলেছে স্মার্টফোন চাহিদা।
সম্প্রতি আইফোন এক্স থেকে অ্যাপলের স্মার্টফোনের দাম এক ধাপে অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। একবার ফোন কিনলে সেই ফোন অনেক বেশিদিন ব্যবহার করতে চাইছেন গ্রাহক। এর ফলে ক্রমেই কমছে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের ব্যবহার।
এ ছাড়াও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার একাধিক দেশে হঠাৎ করে মুদ্রার দাম কমে যাওয়ার কারণে বেড়েছে ডলারের দাম। তাই দাম বেড়েছে স্মার্টফোনে। আর তার প্রভাব সরাসরি পড়েছে স্মার্টফোন বাজারে।
একজন গ্রাহক একটি স্মার্টফোন কিনলে সেটি বেশিদিন ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা করেন। এতে করে স্মার্টফোনের চাহিদা কিছুটা কমছে।
The post ফোল্ডেবল ডিসপ্লে ফোনের চাহিদা হবে ৬৫ মিলিয়ন ইউনিট appeared first on Technology Bangla News - Photos, Videos, Reviews, Downloads and Update:.
অরিজিনাল পোস্ট
পোস্টটি Techzoom থেকে নেওয়া