দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পকে জনান দিতে ‘সফটএক্সপো’

দেশের সফটওয়্যার শিল্পোন্নয়ন এবং বিদেশি বাজার প্রসারে ‘সফটএক্সপো’ বেসিসের নিয়মিত আয়োজন। প্রতি বছরের এ আয়োজন ও দেশের সফটওয়্যার শিল্প খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে আসছে। সফটএক্সপোর মূল লক্ষ্য দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প খাতের সক্ষমতা প্রদর্শন করা। আগামী ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সফটএক্সপো নিয়ে যেসব কথা বলেছেন এবারের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।

দেশের সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নে এবং দেশীয় সফটওয়্যার বিপিণন প্রসারে এ আয়োজন কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনি মনে করেন?
স্থানীয়সহ বিশ্ব বাজারে নিজস্ব সক্ষমতা তুলে ধরাই সফটএক্সপোর প্রধান লক্ষ্য। আর এ কারণেই আমরা আয়োজনে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিন্যান্স ইন্ডাস্ট্রিসহ অন্যান্য নীতিনীর্ধারকদের। ফলে দেশীয় সফটওয়্যার সংশ্লিষ্টরা আগ্রহী আর বিশ্বাসী হতে পারে।

নীতিনির্ধারক পর্যায়ে উন্নয়নের লক্ষ্য আয়োজিত ৩০টির মধ্যে ২২টি সেমিনারই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। যেখানে দেশি সফটওয়্যার খাতের বিদ্যমান সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধানগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। এক্ষেত্রে পাবলিক প্রসিকিউরমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে নীতিনির্ধারণে যদি দেশীয় সফটওয়্যারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা যায়, তবে তা দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প উন্নয়নে সহায়তা করবে।

আগামী দিনের প্রযুক্তি এবং তার প্রস্তুতির প্রদর্শন থাকবে। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়লে চলবে না। সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। তাই এক্সপোতে আমরা নতুন নতুন কিছু আয়োজন এনেছি। আর এসব আয়োজনের উপর ভিত্তি করেই এবারের সফটএক্সপোর থিম ‘ডিজাইন দ্য ফিউচার’। তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী করতে আয়োজন করা হয়েছে ‘আইসিটি ক্যাম্প’। এই উদ্দেশ্যগুলো সফল হলে এই আয়োজন দেশীয় সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নতুন বা অ্যাডভান্স প্রযুক্তিগত আলোচনায় কোন প্রযুক্তিগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে?
এক্ষেত্রে আমার গুরুত্ব দিচ্ছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর), অগমেট্রিক্স, আইওটি এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো বিষয়গুলো। অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে মেশিন লার্নিং বিষয়ে আমন্ত্রিত অতিথি বক্তা থাকছেন বিখ্যাত এমআইটির।

এবারে চমকপ্রদ কোনো আয়োজন থাকছে কি?
সত্যিকারের অর্থে এবারের বেসিস আয়োজনে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে। মূল্য লক্ষ্য হলো বাণিজ্যিক প্রসার। তাই দর্শক চমক নয়, বরং সম্পৃক্ত শিল্প খাতের ‘বিজনেস-টু-বিজনেস’ উন্নয়নই হবে লক্ষ্য। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আছে হলোগ্রাফিক তথ্যচিত্র উপস্থাপন যা দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেবে।

এবারের আয়োজনে বিজনেস টু বিজনেস সেশনে কটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে?
বিগত সফলতাই আমাদের উৎসাহ যোগাচ্ছে। এবার ইউরোপ থেকে মোট ৪০টি প্রতিষ্ঠান আসছে। বিটুবি ম্যাচ-মেকিং-এর সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেশি। তাই ফলাফলটাও ভালোই আশা করছি।

মূল পৃষ্ঠপোষক কারা?
আমরা আসলে কাউকে বিশেষ কোন পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখছি না। এ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে একদিকে যেমন ফিন্যান্সিয়াল খাত আছে অন্যদিকে আছে টেলকো ব্র্যান্ডগুলো। এছাড়া সহযোগিতায় আছে ব্যাংক এশিয়া, ডাচ বাংলা ব্যাংক, বাংলালিংক ছাড়াও অনেকে।

কেমন সংখ্যক দর্শনার্থী প্রত্যাশা করছেন?
বিগত বছরের তুলনায় কম করে হলেও ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। চার দিনে প্রায় দেড় লাখের কাছাকাছি দর্শক প্রত্যাশা করছি।

প্রথমবারের মত আপনার নেতৃত্বে এই আয়োজন কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আর এ সফলতায় আপনি কতটা আশাবাদী?
প্রথম হলেও সবার সহযোগিতায় এই আয়োজন তাই সেরকম কোন চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। ইন্ডাস্ট্রির সবার কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি। আর সফলতায় আমি বেশ আশাবাদী। কারণ আমরা আয়োজনকে কেন্দ্র করে বেশ কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকটিভেশন প্রোগ্রাম করেছি। সেখানে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাবিদদের উৎসাহ আর আগ্রহ আমাদের সফলতা এনে দেবে।

সবশেষ সরকারি সহযোগিতা যেমন বর্তমান সরকার যথেষ্ট প্রযুক্তিবান্ধব। আর তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আমাদের লোক যা আমাদের আত্মবিশ্বসকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। সে সাথে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী উৎসাহ, যিনি গত কয়েক বছর আমাদের সব ধরনের সহযোগিতায় করে আসছেন। তাই এতগুলো মানুষের সহযোগিতা আর অংশগ্রহণে ফলাফল নিশ্চই ভালো কিছুই হবে।


অরিজিনাল পোস্ট
পোস্টটি Techzoom থেকে নেওয়া
Thank you for reading this article on দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পকে জনান দিতে ‘সফটএক্সপো’ on the Apps For Life bd blog if you want to spread this article please include links as Source, and if this article useful please bookmark this page in your web browser, with How to press Ctrl + D on your keyboard button.

Latest articles: