ইন্টারনেট অব থিংসের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে সারাদেশে আয়োজনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও খুলনা নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল আরডুইনো কর্মশালা। কুয়েটে ও নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগারের আয়োজনে কর্মশালায় সহযোগিতা করেছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (বাবিজস) ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।
কর্মশালার ফ্যাসিলিটেটরদের দলনেতা রেদওয়ান ফেরদৌস জানিয়েছেন ইন্টারনেট অব থিংসের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই সারাদেশে এই আয়োজন করা হচ্ছে।
কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট অব থিংসের বিভিন্ন ছোট সমস্যা সমাধানের জন্য ইলেক্ট্রনিক্সের বহুল পরিচিত কিট আরডুইনো ব্যবহার করেছে। বর্তমানে রোবটিক্স কিংবা প্রোগ্রামবেজ প্রজেক্ট তৈরির ক্ষেত্রে আরডুইনো ডেভেলপমেন্ট কিট বেশ জনপ্রিয়।
কর্মশালায় হাতে-কলমে দেখানো হয়েছে কীভাবে এই ওপেনসোর্স হার্ডওয়্যারটি কাজ করে। আরডুইনো পিন কনফিগারেশন, মাইক্রোকন্ট্রোলার, বেসিক ইলেকট্রনিক্স, সিরিয়াল কমুনিকেশন, লেড জ্বালানো নিয়ন্ত্রণ, ডিজিটাল পিনের ব্যবহার, এনালগ পিনের ব্যবহার, পালস উইথ মডুলেশন (পিডাবলুএম), টেমপারেচার সেন্সর, সোনার সেন্সর, সারভো মোটর, পুশ বাটন, পটেনশিওমিটার, এলসিডি ডিসপ্লে এবং বার্জারের ব্যবহার দেখানো হয়।
কর্মশালা দুইটিতে উপস্থিত ছিলেন নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক তারাপদ ভৌমিক, রেজিস্ট্রার শহিদুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নওশের আলী মোড়ল প্রমুখ।
কর্মশালায় অধ্যাপক তারাপদ ভৌমিক বলেন, ‘এইরকম প্রযুক্তির ব্যবহার বর্তমান প্রজন্মের জন্যে খুবই দরকার, কারণ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।’ তিনি এই উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য ম্যাসল্যাবকে অনুরোধ করেন।
দুইট কর্মশালায় মোট ৭৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। দুই কর্মশালার সেরা ১০ জন পরবর্তী সময়ে এ সংক্রান্ত বুট ক্যাম্পে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
কর্মশালা পরিচালনায় রেদওয়ান ফেরদৌসকে সহায়তা করেন উজ্জ্বল পোদ্দার, কামরুল হাসান ও গোলাম মোর্শেদ।
অরিজিনাল পোস্ট
পোস্টটি Techzoom থেকে নেওয়া