মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৬] - স্লাইড মাষ্টার, স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন/গ্রাফিক্স যুক্ত করার নিয়ম।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ার পয়েন্টে স্বাগতম। এখানে পাওয়ার পয়েন্টের-2010 এর A-Z সম্পর্কে মোট ১০টি চেইন  টিউটোরিয়াল, আশা করি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০১] - ব্যাকস্টেজ /অফিস মেন্যু পরিচিতি ।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০২] - ব্যাকস্টেজ/অফিস মেন্যু সমগ্র ।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৩]- ইন্টারফেস পরিচিতি ও কাস্টমাইজেশান।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৪] - স্লাইড তৈরি ও সংশোধন করা।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৫]- স্লাইডসমুহকে সেকশানে সাজানো, স্লাইডে ইমেজ যুক্তকরন, প্রেজেন্টেশান রান করা।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৬] - স্লাইড মাষ্টার, স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন/গ্রাফিক্স যুক্ত করার নিয়ম ।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৭] - স্লাইড সাজানো টুলস/শেপের ব্যবহার করা।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৮] - প্রেজেনটেশানে মাল্টিমিডিয়া যুক্ত (অডিও)।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৯] - প্রেজেনটেশানে মাল্টিমিডিয়া যুক্ত (ভিডিও) ।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-১০] - স্লাইডে Transition এবং  Animation প্রয়োগ দেখানো।



 স্লাইড মাস্টারঃ

প্রেজেন্টেশানে যখন অনেকগুলো স্লাইড থাকে তখন স্লাইডের কন্টেন্ট যেমন-টেক্সট, অবজেক্ট, গ্রাফিক্স (ছবি, ক্লিপ-আর্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ) এডিট করতে গেলে একটি একটি স্লাইড ধরে করা অনেকটাই কষ্টকর এবং সময় সাপেক্ষ । সেক্ষেত্রে যদি আমরা সবগুলো স্লাইডকেই একসাথে ফরমেট করি তাহলে আমাদের স্লাইড মাস্টারের দরকার হবে । নিচের চিত্রটি লক্ষ কর-

 প্রেজেন্টেশানটি ওপেন করে View menu তে গিয়ে চিত্রে চিহ্নিত স্থানে দেখুন Slide master লেখাটি ক্লিক করলে ইন্টারফেসে নরমালি স্লাইডগুলোকে যেভাবে দেখা যায় সেভাবে আর দেখা যাবে না । দেখা যাবে শুধু স্লাইড মাস্টার লে-আউট এর অপশানগুলো । এখানে কাজ করতে হবে স্লাইড মাস্টার লে-আউট অপশানের সবার উপরে যে স্লাইডটি রয়েছে সেটিতে ক্লিক করে । এরপর যেকোন টেক্সট হোল্ডার থেকে টেক্সটগুলো সিলেক্ট করে পছন্দ অনুযায়ী ফরমেট করতে হবে যেমন- ফন্ট সাইজ, স্টাইল, ফন্টের কালার পরিবর্তন এমনকি ফন্ট পরিবর্তন ইত্যাদি। এছাড়া যে টেক্সট বক্সে টেক্সগুলো থাকে সেটি সিলেক্ট করে  বক্সটির বিভিন্ন ধরনের ফরমেট করা যায় । উল্লেখ্য যে,  কোন টেক্সট বক্স, কোন শেপ, কোন ইমেজকে সিলেক্ট করা হয় ঠিক তখনই এগুলোকে বিভিন্ন ফরমেট অপশন পাওয়া যায় অর্থাৎ পাওয়ারপয়েন্ট ২০১০ রিবনে অতিরিক্ত ফরমেট ট্যাব দৃশ্যমান হয় ।
 সেখান থেকে প্রয়োজনীয় ফরমেট করতে হয় । চিত্র দুটি লক্ষ্য কর-

 
উপরের প্রথম চিত্র হচ্ছে পাওয়ার পয়েন্টে যখন কোন বক্স, শেপ, ইমেজকে সিলেক্ট করি তখন সিলেক্ট করা অবজেক্ট এর ড্রয়িং পরিবর্তন করার সকল অপশন  দৃশ্যমান হয় ।
Insert shape, Shape style, Wordart style, Arrange, Size কোনটির সাহায্যে কি কাজ করা হয় সেগুলো নিজে নিজে একটু চেষ্টা করে দেখ কি কাম হয় । যদি কারো সমস্যা হয় তাহলে কম্পিউটার কোচিং ফেসবুক গ্রুপে লক কর।

দ্বিতীয় চিত্রটি হলো Image edit টুল অপশন, প্রেজেন্টেশানে কোন ইমেজকে সিলেক্ট করলে রিবনে এটি দৃশ্যমান হয় । এখান থেকে যে অপশন দরকার সেটি ব্যবহার কর।

এভাবে টেক্সট, শেপ, ইমেজসহ সম্পুর্ন এডিট করার পর রিবন থেকে স্লাইড মাস্টার ট্যাবে গিয়ে  Close master view তে ক্লিক করে প্রেজেন্টেশানটি সেভ কর ।  নিচের চিত্রটি দেখ -

এখানে দেখ যখন মাস্টার স্লাইড এর মাধ্যমে সম্পুর্ন প্রেজেন্টেশানটিকে ফরমেট শুরু করতে যাবে তখন Slide master নামে আরেকটি ট্যাব রিবনে দেখা যায় ।
 প্রয়োজনীয় সকল ট্যাব দিয়ে ফরমেটিং শেষ করার পর পুনরায় Slide master ট্যাবে এসে ডানপাশের Close master view অপশনে ক্লিক করে প্রেজেন্টেশানটিকে সেভ কর ।

স্লাইড ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তনঃ

এখন আমরা যদি প্রত্যেকটি স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড আলাদা আলাদা পরিবর্তন করি তাও করা যাবে । আবার যদি একই ব্যাকগ্রাউন্ড সবগুলো স্লাইডেই করতে চাই তাহলে উপরের আলোচনা মোতাবেক স্লাইড মাস্টার ট্যাব এ গিয়ে স্লাইড মাস্টার লে-আউটগুলোর মধ্যে সবার উপরে যেটি সেটি সিলেক্ট করলে নিচের মত চিত্র দেখাবে-


চিত্রে চিহ্নিত স্থান Background styles এ ক্লিক করলে নিচের মত চিত্র প্রকাশ হয়-

এখান থেকে ব্যকগ্রাউন্ড সিলেক্ট কর অথবা নিচে Format background লেখা ক্লিক করে যে কোন পিকচার কাষ্টম ইফেক্ট ইত্যাদি দিয়ে ব্যকগ্রাউন্ড সেট করা যায়।


স্লাইডে গ্রাফিক্স যুক্ত করাঃ
 
প্রেজেন্টেশান ফরমেট, ব্যাকগ্রাউন্ড এ পছন্দ অনুযায়ী ছবি/টেক্সার সবে দেওয়া হলো । এরপরও যদি আর একটু সুন্দর হত । তাহলে দেখি আর একটু সুন্দর করি পারি কিনা-

 স্লাইড মাস্টার ট্যাব এর প্রথম স্লাইডটি সিলেক্ট করা অবস্থায় Insert tab এ গিয়ে Picture select করে যে কোন একটি সুন্দর ছবি/টেক্সার স্লাইড এ যুক্ত করি। এরপর ইমেজটিকে সিলেক্ট করে কাষ্টমাইজ করি-
যুক্ত করা পিকচার সিলেক্ট করলে ফরমেট অপশনটি ভিজিবল হবে । উপরের চিত্রটি দেখ এখান থেকে প্রয়োজনীয় শেফট্, ইফেক্ট যুক্ত করে প্রেজেন্টেশানটি অনেক সুন্দর করা যায়।







Thank you for reading this article on মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৬] - স্লাইড মাষ্টার, স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন/গ্রাফিক্স যুক্ত করার নিয়ম। on the Apps For Life bd blog if you want to spread this article please include links as Source, and if this article useful please bookmark this page in your web browser, with How to press Ctrl + D on your keyboard button.

Latest articles: