তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, টেকজুম ডটটিভি// মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) বা নম্বর অপরিবর্তিত রেখে মোবাইল অপারেটর বদলের সেবা চালুর সংশোধিত নীতিমালা অনুমোদন করেছে সরকার। নীতিমালা অনুমোদনের ফলে এই সেবা চালু করতে কোনো বাধা রইল না। এখন সেবাটি চালুর জন্য দরপত্র আহ্বান করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে এখন নিলামের পরিবর্তে বিউটি কনটেস্ট বা আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা মূল্যায়নের মাধ্যমে এমএনপি লাইসেন্স দেওয়া হবে।
নীতিমালায় লাইসেন্স ফি ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা ও বার্ষিক লাইসেন্স ফি ধরা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হবে ১০ কোটি টাকা। নীতিমালায় আরও বলা হয় লাইসেন্স পাওয়ার পর দ্বিতীয় বছর থেকে অফার সিকিউরিটি মানি দিতে হবে এক কোটি টাকা। দ্বিতীয় বছর থেকে ১৫ শতাংশ গ্রস রেভিনিউ শেয়ারিং করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার তহবিলে (এসওএফ) এক শতাংশ হারে অর্থ জমা দিতে হবে। লাইসেন্স আবেদন ফি ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। লাইসেন্সে মেয়াদ হবে ১৫ বছর।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ বিষয়ে বলেন, এমএনপির সংশোধিত গাইডলাইন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় (যেহেতু অর্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় আছে) থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ফাইলটি সেদিনই টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে পাঠিয়ে দিই বিটিআরসিতে। কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করে। আমরা জানি এমএনপি নিয়ে সাধারণ মানুষে আগ্রহের কথা।
তিনি আরও বলেন, এমএনপি সেবা চালুর সব অনুমোদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি আছে কেবল আনুষ্ঠানিকতা। মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক পর্যায়ে এই সার্ভিস দেবার জন্য টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৯ মাস সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে জনগণকে এই সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা রাখি। গ্রাহকের সুবিধার্থে দ্রুত এই সেবা চালু করা হবে। অপারেটরগুলোয় প্রতিযোগিতা বাড়বে। এতে সেবার গুণগত মান আরও বাড়বে।
তারানা হালিম বলেন, দ্রুতই এই সেবা চালু সম্ভব হবে। এর ফলে মোবাইল ফোনের গ্রাহকরা নম্বর অপরিবর্তিত রেখে যে কোনো অপারেটরের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এর ফলে গ্রাহকদের কোনো একক অপারেটরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে না। তাদের কোনো অপারেট সেবা পছন্দ না হলে অন্য অপারেটরে চলে যেতে পারবে।
সূত্র জানায়, এই পদ্ধতি চালু হলে গ্রাহককে শুধু একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠাতে হবে। এতে উল্লেখ করতে হবে কোন অপারেটরের কোন প্যাকেজটি গ্রাহক গ্রহণ করবে। এগুলো একটি কোডের মাধ্যমে জানাতে হবে। এই কোডগুলো তৈরির কাজ চলছে। এগুলো পরিচালনা করবে এমএনপি অপারেটর নামের একটি কোম্পানি।
এই ধরেনের অপারেটর পরিবর্তন করতে হলে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রাহককে ৩০ টাকা ফি দিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাহক যে অপারেটরে স্থানান্তরিত হলো সেই সেবা কমপক্ষে ৪০ দিন নিতে হবে। গ্রাহক ইচ্ছে করলে এর পর আবার একই প্রক্রিয়ায় অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবে। বর্তমানে বিশ্বের ৭১টি দেশে এ সুবিধা চালু রয়েছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে ২০১১ সালে চালু করা হয়েছে এ সেবা। পাকিস্তানে চালু আছে ২০০৭ সাল থেকে।
টেকজুম ডটটিভি/২৫জুলাই/ এসআর
অরিজিনাল পোস্ট
পোস্টটি Techzoom থেকে নেওয়া