ব্যাটারি ও চার্জার সম্পর্কে জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য

স্মার্টফোনসহ অন্যান্য প্রযুক্তি যন্ত্রকে টেকসই করতে চার্জিং ব্যবস্থা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে খুব কম মানুষই গোপনীয়তাগুলো জানেন। চার্জ দেওয়ার কাজটি খুব সাধারণ মনে হলেও পেছনে ঘটে যায় অনেক ঘটনা। এখানে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

মোবাইল ও ল্যাপটপ যাদের রয়েছে তাদের জেনে রাখাটাও জরুরি।

১. মোবাইল বা ল্যাপটপের চার্জারের পেছনে ছোট্ট ছবিটি কিসের? প্রায় সব স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের চার্জারে ছোট প্রিন্ট করা ছবি রয়েছে। একটি ব্যাটারির ছবি এবং তার ওপর আড়াআড়িভাবে একটি সরলরেখা চলে গেছে। সেখানে ব্যাটারির ইনপুট ও আউটপুট বিষয়ে তথ্য দেওয়া রয়েছে। ইনপুট হয় সাধারণত এসি (অল্টারনেটিং কারেন্ট) যা ১০০-২৪০ ভোল্ট পর্যন্ত থাকে। এর অর্থ, এই ইউনিভার্সের ভোল্টেজ চার্জার পৃথিবীর সবখানেই চলবে। আর আউটপুটের পর সাধারণত দেখতে পাবেন লেখা রয়েছে ৫ভি (৫ ভোল্ট)। আর আছে অ্যাম্পস (ইলেকট্রিক চার্জ প্রবাহের হার)। চার্জিং প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে ভোল্ট কেমন হবে। কোয়ালকমের কুইকচার্জার ৯-১২ ভোল্ট পর্যন্ত হতে পারে। এসব চার্জারের অ্যাম্পের পরিমাণ ৫০০ মিলি অ্যাম্প থেকে ৪ অ্যাম্প পর্যন্ত হতে পারে।

২. পাওয়ারব্যাংক ১০০০০এমএএইচ হওয়ার অর্থ কি? মিলি অ্যাম্প আওয়ার্স বা এমএএইচ এর অর্থ হলো, পাওয়ারব্যাংকের মাঝের ব্যাটারি কতটা চার্জ ধরে রাখতে পারে। এটা যত বেশি হবে, ব্যাটারির চার্জও তত বেশি ধরবে। ২০০০এমএএইচ ব্যাটারির স্মার্টফোন একটি ১০০০০এমএএইচ ব্যাটারির পাওয়ারব্যাংক থেকে ৫ বার পূর্ণ চার্জ গ্রহণ করতে পারবে। পাওয়ারব্যাংকের ভোল্টেজ ৩ ভোল্ট পর্যন্ত থাকতে পারে।

৩. ফাস্ট চার্জিংয়ের বিষয়টা কি? স্মার্টফোনের ব্যাটারির শক্তি বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে হালকা- পাতলা ফোনও চাইছে মানুষ। এ ক্ষেত্রে বড় আকারের ব্যাটারি দেওয়া যাচ্ছে। না। আবার শক্তিশালী ব্যাটারি চার্জ করতেও অনেক সময় প্রয়োজন। অবশেষে সমাধান নিয়ে এসেছে কোয়ালকম। তারা ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সৃষ্টি করেছে। তবে সব ব্যাটারি দ্রুত চার্জ নিতে পারে না। এর জন্য একই চার্জ চক্রের মধ্যে থেকেও বিকল্প ভোল্ট নিতে পারে এমন ব্যাটারিই পারে দ্রুতগতিতে চার্জ নিতে। আধুনিক সব ফ্ল্যাগশিপ ফোনেই দেওয়া হচ্ছে ফাস্ট চার্জ প্রযুক্তি। এতে শক্তিশালী ব্যাটারিগুলো অতি দ্রুত পরিপূর্ণভাবে চার্জ হয়ে যায়।

৪. ল্যাপটপ পোর্টের মাধ্যমে চার্জ? আপনি হয়তো ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করেছেন মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য। সাধারণত ল্যাপটপ ৫০০এমএএইচ কারেন্ট সরবরাহ করতে পারে। কাজেই এর মাধ্যমে খুব ধীর গতিতে চার্জ হয়। আবার কিছু ল্যাপটপে এ সুবিধা দিতে এমন একটি পোর্ট থাকে যা সবসময় চালু অবস্থায় থাকে। কোনো চিহ্ন বা লাইটের মাধ্যমে এক দেখানো হয়। এই বিশেষ পোর্টের মাধ্যমে শক্তিশারী কারেন্ট প্রবাহের ব্যবস্থা থাকে যে দ্রুত চার্জ করা যায়।

৫. বড় ব্যাটারি মানেই কি দীর্ঘস্থায়ী জীবন? আসলে বিষয়টি তেমন নয়। এটা নির্ভর করে যন্ত্রটি কি পরিমাণ শক্তি প্রদান করছে তার ওপর। পুরনো ফিচার ফোনে ৭৫০ বা ৯০০এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে যা অনেক সময় পর্যন্ত চলে। কিন্তু স্মার্টফোনের পর্দা, প্রসেসর এবং অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন। তাই এসব ফোনে ২০০০-৫০০০এমএএইচ পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা হয়।

৬. সোলার মোবাইল চার্জার কেমন? আসলে আইডিয়াটা ভালো। সোলার চার্জারের মাধ্যমে আপনি সরাসরি ফোন বা পাওয়ারব্যাংক চার্জ করতে পারেন। তবে এর মাধ্যমে ধীর গতিতে চার্জ হবে। এর মাধ্যমে প্রতিঘণ্টায় ১০-১৫ শতাংশ চার্জ হয় ব্যাটারি।

৭. এক ফোনের চার্জারে অন্য ফোন চার্জের বিষয়টি কি? আসলে এক ফোনের চার্জার দিয়ে অন্য ফোন আমরা অহরহ চার্জ করে থাকি। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে অনেক নির্মাতা ইউএসবি হোস্ট সাপোর্টের ব্যবস্থা রেখে চার্জার বানায়। তা ছাড়া সব ফোনের চার্জার ও চার্জিং ব্যবস্থা একই ধরনের থাকে। তাই এক ফোনের চার্জার দিয়ে অন্য ফোন চার্জ দেওয়া যায়। তবে যে ফোন চার্জ করবেন, তার সঙ্গে দেওয়া চার্জার ব্যবহার করাই ভালো।   সূত্র : গেজেট স্নো


অরিজিনাল পোস্ট
পোস্টটি Techzoom থেকে নেওয়া
Thank you for reading this article on ব্যাটারি ও চার্জার সম্পর্কে জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য on the Apps For Life bd blog if you want to spread this article please include links as Source, and if this article useful please bookmark this page in your web browser, with How to press Ctrl + D on your keyboard button.

Latest articles: