তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, টেকজুম ডটটিভি// তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে স্মার্টফোন ছাড়া একটি দিন-রাত চিন্তা করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত চলে এর ব্যবারহার। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় রাতের আলো নিভিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে স্মার্টফোনের নীল আলোয় অন্ধ হয়ে যেতে পারেন আপনি। এমনটি জানিয়েছে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির একদল গবেষক।
গবেষকরা জানান, স্মার্টফোনের নীল আলোর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব মারাত্মক। মেলাটোনিন হরমোন উত্পাদনে বাধা দেয় এই আলো। এই হরমোনের প্রভাবে ঘুম নামে চোখে। ফলে ঘুমের দফারফা। মস্তিষ্ক তখন ভাবতে শুরু করে, সকাল হয়ে গেছে। রাতের অন্ধকারে দীর্ঘসময় স্মার্টফোনের ব্যবহারের ফলে রেটিনার ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে। রেটিনা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে পরিনাম অন্ধত্ব।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় চোখের পলক কম পড়ে। স্বাভাবিকের তুলনায় স্মার্টফোন চোখের খুব কাছে এনে ব্যবহার করা হয়। এর থেকে নির্গত আলো শুধু ক্ষতিকরই নয়, বিষাক্তও। অন্ধকারে স্মার্টফোনের নীল আলো বেশিমাত্রায় চোখে ঢুকলে ঘাড়ে ব্যথা, মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের মতো সমস্যা বাড়ে। এ ছাড়া মুঠোফোনে দীর্ঘসময় মেসেজ টাইপ করতে থাকলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে। আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগ হতে পারে।
চিকিত্সকদের পরামর্শ, রাতের অন্ধকারে স্মার্টফোন ব্যবহার ছাড়তেই হবে। খুব প্রয়োজনে আলো জ্বেলে মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
মোবাইলে চোখ, কী বোর্ডে আঙুল। দুনিয়া এখন চলছে এই নিয়মেই। দিনভর। এমনকী রাতভর। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ছাড়াও রকমারি অ্যাপ, ঝকমারি যন্ত্রণা। দিন পেরিয়ে রাত নামলেও মোবাইলের বিরাম নেই। হাত-মাথা সদাব্যস্ত। রাতে বিছানায় আলো নিভিয়েও হাতে স্মার্টফোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকিঝুঁকি। ঘুমের তো দফারফাই। কিন্তু বিপদ আরও মারাত্মক। অন্ধকারে স্মার্টফোনের আলো অন্ধত্ব পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
টেকজুম ডটটিভি/১৯আগস্ট/এসআর
অরিজিনাল পোস্ট
পোস্টটি Techzoom থেকে নেওয়া