মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০২] - ব্যাকস্টেজ /অফিস মেন্যু পরিচিতি


মাইক্রসফ্ট পাওয়ার পয়েন্টে স্বাগতম। এখানে পাওয়ার পয়েন্টের-2010 এর A-Z সম্পর্কে মোট ১০টি চেইন  টিউটোরিয়াল, আশা করি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০১] - ব্যাকস্টেজ /অফিস মেন্যু পরিচিতি ।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০২] - ব্যাকস্টেজ/অফিস মেন্যু সমগ্র ।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৩]- ইন্টারফেস পরিচিতি ও কাস্টমাইজেশান।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৪] - স্লাইড তৈরি ও সংশোধন করা।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৫]- স্লাইডসমুহকে সেকশানে সাজানো, স্লাইডে ইমেজ যুক্তকরন, প্রেজেন্টেশান রান করা।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৬] - স্লাইড মাষ্টার, স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন/গ্রাফিক্স যুক্ত করার নিয়ম ।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৭] - স্লাইড সাজানো টুলস/শেপের ব্যবহার করা।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৮] - প্রেজেনটেশানে মাল্টিমিডিয়া যুক্ত (অডিও)।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০৯] - প্রেজেনটেশানে মাল্টিমিডিয়া যুক্ত (ভিডিও) ।

মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-১০] - স্লাইডে Transition এবং  Animation প্রয়োগ দেখানো।


আজকের আলোচনার বিষয় হল মাইক্রোসফট অফিস পাওয়ারপয়েন্ট ২০১০ এর ব্যাকস্টেজ এর অধীন ফিচারগুলো নিয়ে।
 Save: ব্যাকস্টেজ এ গিয়ে Save এ ক্লিক করলে Save as ডায়ালগ বক্স প্রকাশিত হয়। এই বক্সের File name অংশে যে নামে ফাইলটি সেভ করবেন তা লিখতে হবে। Save as type এর ডানপাশে black down arrow তে ক্লিক করলে ফাইল টাইপ মেনু ওপেন হবে। এখান থেকে PowerPoint presentation  অথবা PowerPoint 97-2003 presentation যেকোন একটি সিলেক্ট করতে হবে। তবে যদি ফাইলটি অন্য কোথাও নিতে চান বা কাউকে মেইল করে পাঠাতে চান তাহলে অবশ্যই ২য় অপশানটি সিলেক্ট করতে হবে।
কারন, যার কাছে ফাইলটি পাঠাবেন তিনি হয়তো অফিস ২০১০ ব্যবহার নাও করতে পারেন।
উপরের চিত্রের (১) চিহ্নিত স্থানে গিয়ে ফাইলটি যেখানে সেভ হবে তা সিলেক্ট করে সেভ বাটনে ক্লিক করলে ফাইল টি সেভ হবে।

Save as: এই কমান্ডটি আমরা ব্যবহার করি মূলত মূল ফাইলটি অক্ষত রেখে অন্য একটি ফাইল এই ফাইলটির মতই তৈরি করে এডিট/সংশোধন করার জন্য। Save as কমান্ডটি প্রয়োগ করে অন্য একটি নাম দিয়ে ফাইলটি সেভ করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা যায়। সম্পূর্ন প্রক্রিয়াটি সেভ করার মতই।

Save করার জন্য শর্টকাট =  Ctrl + S

Save as এর শর্টকাট = F12

Open: Backstage/File menu থেকে Open এ ক্লিক করে অথবা কী-বোর্ড Ctrl+O চেপে ফাইল ওপেন করা যায়। এক্ষেত্রে ওপেন ডায়ালগ বক্স আসার পর ফাইল যেখানে আছে সেখানে গিয়ে ফাইল সিলেক্ট করে ওপেন এ ক্লিক বা ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করলে ফাইলটি ওপেন হয়ে যাবে।

Close: পাওয়ারপয়েন্টে যদি একাধিক ফাইল ওপেন করা থাকে তাহলে এই কমান্ডটি প্রয়োগ করে একটিভ ফাইলটি ক্লোজ করা যায়। ব্যাকস্টেজ এ গিয়ে close এ ক্লিক বা কী-বোর্ড থেকে Ctrl+w চাপ দিলেই ফাইলটি সেভ হবে।

New: পাওয়ারপয়েন্ট ২০১০ এ নতুন একটি ফাইল তৈরি করতে New তে ক্লিক অথবা কী-বোর্ড থেকে Ctrl+N চাপ দিলে নিম্নের ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে।

উপরের চিত্রে (১) চিহ্নিত স্থান থেকে Blank presentation select করে চিত্রে (৩) চিহ্নিত স্থানে Create এ ক্লিক করলে নতুন ফাইল তৈরি হবে। এছাড়াও Home এর অধীনে বিভিন্ন ডিফল্ট টেম্পলেট ব্যবহার করে কাজ করা যায়।
উপরের চিত্রে (২) চিহ্নিত স্থানে Office.com template ব্যবহার করেও কাজ করতে পারেন। তবে Office.com template ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই আপনার পিসিতে ইন্টারনেট কানেকশান থাকতে হবে।
Print: Backstage/File menu থেকে Print এ ক্লিক অথবা কী-বোর্ড থেকে Ctrl+P চাপ দিলে নিম্ন ডায়ালগ বক্সটি ওপেন হবে।
 চিত্রে (১) চিহ্নিত স্থানে যতকপি প্রিন্ট করা হবে তার সংখ্যা লিখে দিতে হবে।

চিত্রে (২) চিহ্নিত স্থানে প্রিন্টার সেট করতে হবে।

চিত্রে (৩) চিহ্নিত সেটিংস এ প্রথমেই কোন কোন স্লাইড প্রিন্ট করতে চাই  তা সেট করতে হবে। যদি সব স্লাইড প্রিন্ট না করি তবে Slides অংশে স্লাইড নাম্বার সেট করা যায় এভাবে..১,৩,৪-৭, ১০,  ১২, ১৬-২০।

এরপরের অপশানে একটি পেজে কয়টি স্লাইড প্রিন্ট হবে তা সেট করে দিতে হবে।

এরপরের অপশনে কিভাবে স্লাইডগুলো প্রিন্ট হবে তা সেট করতে হবে। যেমনঃ ১-৫ এই ৫টি স্লাইড ৪কপি করলে এগুলো ১,২,৩,৪,৫ এইভাবে প্রিন্ট হবে নাকি ১নং স্লাইড ৪টি, ২নং স্লাইড ৪টি এভাবে প্রিন্ট হবে সেট করে দিতে হবে। প্রথম অপশানের জন্য Collated, ২য় অপশানের জন্য Uncollated  নির্বাচন করকত হবে।

সবশেষে কালার সিলেক্ট করে প্রিন্ট করতে হবে।

চিত্রে (৪) চিহ্নিত স্থান থেকে স্লাইডের হেডার ও ফুটার সেট করতে হবে।

চিত্রে (৫) চিহ্নিত স্থানে Page preview দেখা যায় এরো গুলো ব্যবহার করে।

চিত্রে (৬) চিহ্নিত স্থান থেকে স্লাইডগুলোকে ছোট/বড় করে দেখা যায়।

চিত্রে (৭) চিহ্নিত স্থানে স্লাইডগুলোকে উপর/নীচ করে দেখা যায়।

Info: Info ডায়ালগ বক্স থেকে ফাইলটি সমস্ত তথ্য দেখা যায়। ডায়ালগ বক্সটি দেখুন।
 এখানে যে ৩টি অপশান আছে প্রথম অপশনটি আমরা ব্যবহার করে থাকি ফাইলটির সিকিউরিটি পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য। এখানে Protect presentation

এ ক্লিক করে মেনু থেকে Encrypt with password এ ক্লিক। পরপর দুইবার পাসওয়ার্ডটি দিয়ে ok করতে হবে।

চিত্রে (২) চিহ্নিত স্থানে আপনার ফাইলটির সব তথ্য দেখা যায়।

Recent: এখানে কাজ করা সাম্প্রতিক ফাইলগুলো তালিকা সুন্দরভাবে সাজানো থাকে ফাইলগুলো লোকেশান সহ। বামপাশে Recent presentation ডানপাশে Recent places তালিকা দেখা যায়। নিম্ন ডায়ালগ

 এখানে মজার বিষয় হলো লিস্টগুলোর পাশের পিনে ক্লিক করে লিস্টগুলোকে প্রয়োজন অনুসারে রি-অর্ডার করে সাজানো যায়।

Save and send: এখান থেকে ফাইলটি অন্যান্য ফাইল ফরমেটে সেভ করা যায়। এমনকি পাওয়ারপয়েন্ট ফাইলটিকে ভিডিও ফাইলে পরিনত করা যায়, সিডির জন্য তৈরি করা বা ইমেইলে অন্যত্র পাঠানো যায়।
Save and send এর বিভিন্ন অপশানে ক্লিক করলে ডানপাশে সাবমেনু তে আরো তথ্যসম্বলিত বিবরন পাওয়া যায় এবং সে অনুযায়ী কাজ করা যায়। নিচের চিত্রটি দেখুন।

 Help: এই টুলস এ মাইক্রোসফটের আপডেট, সহায়তা ও আপনার ইন্সটল করা প্রোগ্রামটির একটিভেশান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য থাকে।

 Options: এই টুলস এ মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ২০১০ এর ইন্টারফেস ও সম্পূর্ন প্রোগ্রামটির কাস্টমাইজেশান প্রক্রিয়ার বিভিন্ন কমান্ড টুলস দেয়া আছে।
এই লেসনে এ পর্যন্তই। পরবর্তী লেসন এর জন্য আমন্তত্রিত । ধন্যবাদ!







Thank you for reading this article on মাইক্রসফ্ট পাওয়ারপয়েন্ট শিক্ষা [লেসন-০২] - ব্যাকস্টেজ /অফিস মেন্যু পরিচিতি on the Apps For Life bd blog if you want to spread this article please include links as Source, and if this article useful please bookmark this page in your web browser, with How to press Ctrl + D on your keyboard button.

Latest articles: